বেশীর ভাগ সময় এটা লক্ষ্য করা যায় যে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর দুজনেরই ওজন বেড়ে যায়। এবং এও সত্য যে কোন না কোন কারণে কেন জানি পুরুষের মোটা হওয়াটা তেমন একটা চোখে পড়ে না। আবার এটা একদমই সত্য যে, স্ত্রীর ক্ষেত্রে এত বেশি চোখে পড়ে যে এই বেপারে মন্তব্য করতে কেউ একটুখানিকও দেরি করে না।আবার এই হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ায় কেন এমন হয় তার কারণ যদি খুঁজতে শুরু করেন কেউ, তাহলে দেখবেন যে বিয়ের পর মেয়েরা শুধু যে তার বাবার বাড়ি ফেলে আসে সেটা কিন্তু নয়, সেই সাথে সাথে সে ফেলে আসে তার এতদিনের পুরনো খাদ্যাভ্যাস, খাবার সময়, পরিমাণ এবং যাবতীয় কিছু বলা যায়। তাহলে এমন হওয়াটাই কিন্তু স্বাভাবিক।
নতুন পরিবেশে নিজেকে হটাৎ করে মানিয়ে নেয়া, নতুন এক পরিবারের সাথে একটু সবাইকে খুশি এবং সেই পাশাপাশি স্বামীকে, নতুন ভাবে নিজেকে রান্নায় মানিয়ে নেওয়া, এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে চরম একটা মানসিক চাপ বললেই চলে, এটা হয়তো আমাদের চোখে পরে না কিন্তু না বুঝলে কি চলবে? এবং এই ধরণের অনিয়মের কারণে যে মনের অগোচরে ওজন বেড়ে যায় তা আপনারা হয়তো কেউ টেরই পান না কিভাবে যে এত সব কিছু হয়ে যায়। এমতবস্থায় শুধু সৌন্দর্য নয়, নিজের সুস্থতার জন্য, নিজেকে একটু ফিট রাখার জন্য বিয়ের আগে কিংবা পরে সবসময় ফিট থাকতে হবে সবাইকে আর এটাই হতে পারে আপনার সবচেয়ে পজিটিভ একটা চাহিদা। সেকারণেই আপনাদের প্রত্যকেরই বিয়ের পরেই স্বামী-স্ত্রীর ওজন বৃদ্ধি পায় সেজন্য আপনাদের ওজন ঠিক রাখতে জেনে নিতে পারেন কিছু কার্যকরী টিপস।
১। নিজের পুরনো খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস থেকে ভুলেও চেষ্টা করবেন না বেশি সরে যেতে। প্রতিদিন চেষ্টা করুণ সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তোলার। এটা আবার অপ্রিয় সত্য যে একেকটি বাসায় সবাবতই খাওয়ার সময়েও থাকে একটু ভিন্নতা। লজ্জা না করে নিজে প্রতিদিন যে সবসময়ে যেই সময়টিতে আপনার খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলুন। স্বাস্থ্যের দোহাই দিলে আশা করতেই পারি যে এটা নিজে কোন পরিবারে বেশী কন্দগল হবে না। আর সেটা সম্ভব না হলে চেষ্টা করবেন রাতের খাবারটা যাহাতে একটু তারতারি খাওয়া যায়। আর আপনার শ্বশুরবাড়িতে যদি বেশি তেল মশলা খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটাকেও একটু স্বাস্থ্যকরের দিকে মোড় নেয়াবার চেষ্টা করতে পারেন, তাহলে সবার জন্য ভালো হবে।
২। আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আপনার নতুন পরিবেশে এই নতুন দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজনীয় শক্তি জোগান দিবে এই ভিটামিন বি।
৩। আপনার শরীরে যদি কোন অবস্থাতেই ক্যালসিয়াম কমে যায় এবং মোটা হয়ে যাওয়ার একটি প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সেই জন্য আপনি চা, কফি খাওয়া থেকে নিজেকে একটু বিরত রাখুন। আর রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে ভুল করবেন না।
৪। আপনি যদি ফিট থাকার নিয়ম মেনে না চলেন, তাহলে দেখবেন কিছুদিন পর আপনাকে দেখতে একটু বেশী অন্যরকম লাগবে। যতই ব্যস্ত থাকেন না কেন প্রতিদিন অন্তত ৩০ – ৪৫ মিনিট শরীরচর্চায় নিজের একটু দিনের সময় ব্যয় করুন যা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক বেশী কাজে দিবে।
৫। আমরা জাদি বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে একটু দাওয়াত বা ঘোরাঘুরিটা অনেক বেশী হয়, বলা বাহুল্য যে খাওয়াও হয় প্রচুর পরিমাণে। এই বিষ্যটি আপনাকেই কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে।
৬। জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য পিলকে না বলুন অন্য কোন ব্যবস্থা বেছে নিতে পারেন।
৭। ভালো কোন একজন ডায়েটিশিয়ানকে দেখিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন এবং সেটা মেনে চলুন দেখবেন ঝটপট ওজন কমাতে আপনাকে সহায়তা করবে।
৮। গৃহবধূ হলেও ঘরেই চেষ্টা করবেন বাড়ির পরিশ্রমের কাজগুলো করতে বসে থেকে নিজেকে আলসেমির দিতে ঠেলে দিবেন না।