-ইমোশন প্রকাশ না করলে কি হয়?
- কেন আমরা ইমোশন প্রকাশ করবো?
- ইমোশন চেপে রাখলে কি হয়?
আমাদের মধ্যে একটা প্রবনতা আছে আমরা সব সময় আমাদের ইমোশনকে চেপে রাখি, বলা হয় কান্না করা যাবে না, হাসা যাবে না, রাগ করা যাবে না, আমি কষ্টে আছি এটা মানুষকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ইমোশনকে দিনের পর দিন চাপা দিয়ে রাখছি। আমরা প্রকাশ করছি না। বিষয়টাকে যদি এভাবে ভাবা যায় যে, ইমোশন অনেকটা পেটে গ্যাস হওয়ার মত, বা গ্যাসের মত, আপনি গ্যাসকে যদি চেপে রাখেন, সে চাপ বৃদ্ধি করবে এক সময় এসে সে বিস্ফোরণ ঘটাবে। ইমোশনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটে আমরা আমাদের ইমোশনকে প্রকাশ না করে দিনে দিনে নিজের মধে চেপে রাখতে রাখতে এক সময় এসে আমাদের ইমোশনাল আউটব্রাস্ট হয়। তখন আমাদের মধ্যে নানান ধরনের সাইকোলজিক্যাল সমস্যার সৃষ্ট হয়।
আমাদের এই ব্যস্ত সমাজে আমাদেরকে এমন ভাবে শেখানো হয় ইমোশন প্রকাশ করা যাবে না, এটা লজ্জার বিষয়, কান্না করা যাবে না, ছেলেরা কান্না করে না, সবাই বোকা বলবে, এভাবে আমাদেরকে শেখানো হয়। আমাদের মধ্যে অনেক গুলো যেমন নেগেটিভ ইমোশন আছে যেমব, রাগ, দুক্ষ, কষ্ট, হতাশা, উদ্বেগ, শোক ইত্যাদি এর পাশাপাশি আমাদের কিছু পজেটিভ ইমোশনও আছে যেমন, ভালোবাসা, খুশি, আনন্দ ইত্যাদি, অনেকে যেমন নেগেটিভ ইমোশনগুলোকে প্রকাশে বাধা দেয় তেমনি পজেটিভ ইমশোনগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রেও বাধা দিয়ে থাকে। কারন তারা সব সময় ভয় থাকে মানুষ কি মনে করবে, আমি যদি হাসাহাসি করি মানুষ কি মনে করবে, তারা সব সময় মানুষের জাজমেন্টের ভয়ে থাকে।
দিনের পর দিন মাসের পর মাস ইমোশনকে চাপা দিয়ে রাখতে রাখতে এক সময় এসে আমাদের মধ্যে ইমশনের পাহাড় তৈরি হয় যেটিকে সাইকোলজিস্টরা বলেছেন Emotional Constipation (আবেগীয় বদহজম)। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে এমন কিছু ইমোশন তৈরি হয়েছে, যেগুলো বহুদিন ধরে প্রকাশ না করার ফলে আমাদের মধ্যে অশান্তির তৈরি করছে যেটিকে কোন না কোন ভাবে বের করে দিতে হবে। আমরা যখন Emotional Constipation করে থাকি, তখন আমরা একটু শান্তি পাওয়ার জন্য এবং আমাদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য ইমোশনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করি, এটা যদিও সাময়িকের জন্য ভালো লাগা দিলেও এটা শারীরিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে আমাদেরকে স্ট্রেসফুল করে তোলে। এটা অনেকটা এমন বলতে পারেন আপনার প্রচন্ড বাথরুম চেপেছে কিন্তু আপনি বাথরুম করতে চান না, আপনি চেপে রাখলেন, এটা একদিক থেকে যেমন অনেক বেশি স্ট্রেসফুল, এর পাশাপাশি এটা অস্বাভাবিক এবং এটা সত্যিকার অর্থেই আমাদের ক্ষতি করবে।
ইমোশন চেপে রাখার ফলে আমাদের মধ্যে একটা মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং সে সব সময় বের হওয়ার একটা পথ খুজতে থাকে। অনেকেই আছেন তাদের ইমোশনের প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে খাবারকে ব্যবহার করে থাকেব, তারা এই ধরনের স্ট্রেসফুল মুহুর্তে প্রচুর খেতে পছন্দ করে, তারা অতিরিক্ত খায়, অনেকে মদ্যপান করেন, অনেকে মাদক গ্রহন করেন। আমাদের এই ইমশনগুলো সবার এটেনশন চায়, এবং সে সব সময় প্রকাশ পেতে চায়, সেগুলো যখন পর্যাপ্ত এটেনশন না পায় এবং ইমোশন প্রকাশ হতে পারে না তখন সে বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রকাশ হওয়া শুরু হয় যেমন, অতিমাত্রায় খাওয়া, মাদক গ্রহন করা ইত্যাদি। অনুভুতি মানেই হচ্ছে সেটাকে অনুভব করতে হবে এটাই হচ্ছে ন্যাচারাল প্রক্রিয়া। আমরা চাইলেই আমাদের এই ইমশনগুলোকে ন্যাচারল ওয়েতে কারও কোন ক্ষতি না করে পজেটিভ ওয়েতে প্রকাশ করতে পারি।
ইমোশনকে পজেটিভ ওয়েতে প্রকাশ করার ৪ টি ধাপ রয়েছে।
ধাপ১ঃ ইমোশনটাকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং এটার একটা নাম দিনঃ
আপনি যা অনুভব করছেন এটা কি, এটা কোন ধরনের ইমোশন, এটা কি মন খারাপ, রাগ, হাসি, আনন্দ, শোক, হতাশা, ঘৃনা, লজ্জা নাকি ভালোবাসা?
- কেন আমরা ইমোশন প্রকাশ করবো?
- ইমোশন চেপে রাখলে কি হয়?
আমাদের মধ্যে একটা প্রবনতা আছে আমরা সব সময় আমাদের ইমোশনকে চেপে রাখি, বলা হয় কান্না করা যাবে না, হাসা যাবে না, রাগ করা যাবে না, আমি কষ্টে আছি এটা মানুষকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ইমোশনকে দিনের পর দিন চাপা দিয়ে রাখছি। আমরা প্রকাশ করছি না। বিষয়টাকে যদি এভাবে ভাবা যায় যে, ইমোশন অনেকটা পেটে গ্যাস হওয়ার মত, বা গ্যাসের মত, আপনি গ্যাসকে যদি চেপে রাখেন, সে চাপ বৃদ্ধি করবে এক সময় এসে সে বিস্ফোরণ ঘটাবে। ইমোশনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটে আমরা আমাদের ইমোশনকে প্রকাশ না করে দিনে দিনে নিজের মধে চেপে রাখতে রাখতে এক সময় এসে আমাদের ইমোশনাল আউটব্রাস্ট হয়। তখন আমাদের মধ্যে নানান ধরনের সাইকোলজিক্যাল সমস্যার সৃষ্ট হয়।
আমাদের এই ব্যস্ত সমাজে আমাদেরকে এমন ভাবে শেখানো হয় ইমোশন প্রকাশ করা যাবে না, এটা লজ্জার বিষয়, কান্না করা যাবে না, ছেলেরা কান্না করে না, সবাই বোকা বলবে, এভাবে আমাদেরকে শেখানো হয়। আমাদের মধ্যে অনেক গুলো যেমন নেগেটিভ ইমোশন আছে যেমব, রাগ, দুক্ষ, কষ্ট, হতাশা, উদ্বেগ, শোক ইত্যাদি এর পাশাপাশি আমাদের কিছু পজেটিভ ইমোশনও আছে যেমন, ভালোবাসা, খুশি, আনন্দ ইত্যাদি, অনেকে যেমন নেগেটিভ ইমোশনগুলোকে প্রকাশে বাধা দেয় তেমনি পজেটিভ ইমশোনগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রেও বাধা দিয়ে থাকে। কারন তারা সব সময় ভয় থাকে মানুষ কি মনে করবে, আমি যদি হাসাহাসি করি মানুষ কি মনে করবে, তারা সব সময় মানুষের জাজমেন্টের ভয়ে থাকে।
দিনের পর দিন মাসের পর মাস ইমোশনকে চাপা দিয়ে রাখতে রাখতে এক সময় এসে আমাদের মধ্যে ইমশনের পাহাড় তৈরি হয় যেটিকে সাইকোলজিস্টরা বলেছেন Emotional Constipation (আবেগীয় বদহজম)। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে এমন কিছু ইমোশন তৈরি হয়েছে, যেগুলো বহুদিন ধরে প্রকাশ না করার ফলে আমাদের মধ্যে অশান্তির তৈরি করছে যেটিকে কোন না কোন ভাবে বের করে দিতে হবে। আমরা যখন Emotional Constipation করে থাকি, তখন আমরা একটু শান্তি পাওয়ার জন্য এবং আমাদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য ইমোশনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করি, এটা যদিও সাময়িকের জন্য ভালো লাগা দিলেও এটা শারীরিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে আমাদেরকে স্ট্রেসফুল করে তোলে। এটা অনেকটা এমন বলতে পারেন আপনার প্রচন্ড বাথরুম চেপেছে কিন্তু আপনি বাথরুম করতে চান না, আপনি চেপে রাখলেন, এটা একদিক থেকে যেমন অনেক বেশি স্ট্রেসফুল, এর পাশাপাশি এটা অস্বাভাবিক এবং এটা সত্যিকার অর্থেই আমাদের ক্ষতি করবে।
ইমোশন চেপে রাখার ফলে আমাদের মধ্যে একটা মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং সে সব সময় বের হওয়ার একটা পথ খুজতে থাকে। অনেকেই আছেন তাদের ইমোশনের প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে খাবারকে ব্যবহার করে থাকেব, তারা এই ধরনের স্ট্রেসফুল মুহুর্তে প্রচুর খেতে পছন্দ করে, তারা অতিরিক্ত খায়, অনেকে মদ্যপান করেন, অনেকে মাদক গ্রহন করেন। আমাদের এই ইমশনগুলো সবার এটেনশন চায়, এবং সে সব সময় প্রকাশ পেতে চায়, সেগুলো যখন পর্যাপ্ত এটেনশন না পায় এবং ইমোশন প্রকাশ হতে পারে না তখন সে বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রকাশ হওয়া শুরু হয় যেমন, অতিমাত্রায় খাওয়া, মাদক গ্রহন করা ইত্যাদি। অনুভুতি মানেই হচ্ছে সেটাকে অনুভব করতে হবে এটাই হচ্ছে ন্যাচারাল প্রক্রিয়া। আমরা চাইলেই আমাদের এই ইমশনগুলোকে ন্যাচারল ওয়েতে কারও কোন ক্ষতি না করে পজেটিভ ওয়েতে প্রকাশ করতে পারি।
ইমোশনকে পজেটিভ ওয়েতে প্রকাশ করার ৪ টি ধাপ রয়েছে।
ধাপ১ঃ ইমোশনটাকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং এটার একটা নাম দিনঃ
আপনি যা অনুভব করছেন এটা কি, এটা কোন ধরনের ইমোশন, এটা কি মন খারাপ, রাগ, হাসি, আনন্দ, শোক, হতাশা, ঘৃনা, লজ্জা নাকি ভালোবাসা?
ধাপ২ঃ ইমোশনটাকে গ্রহন করে নিনঃ
এটা মনে করুন আপনি যে পরিস্থিতিতে আছেন এই পরিস্থিতে এমন ফিল করাটাই স্বাভাবিক বা এমন ইমোশন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি চাইলে শান্তভাবে বা জোড়ে জোরে নিজেকে বলতে পারেন, আমার _____(রাগ, কষ্ট, কান্না, হতাশা, ভালোবাসা) হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এটা মনে করুন আপনি যে পরিস্থিতিতে আছেন এই পরিস্থিতে এমন ফিল করাটাই স্বাভাবিক বা এমন ইমোশন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি চাইলে শান্তভাবে বা জোড়ে জোরে নিজেকে বলতে পারেন, আমার _____(রাগ, কষ্ট, কান্না, হতাশা, ভালোবাসা) হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ধাপ৩ঃ অনুভুতিক দূর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে এটাকে প্রকাশ করা। আপনি এমন ভাবে অনুভুতিগুলোকে প্রকাশ করতে পারেন যাতে কেউ কষ্ট না পায় যেমন
- আপনি চাইলো ইমোশনগুলোকে লিখে রাখতে পারেন
- একা একরুমে গিয়ে চিৎকার করে ইমোশনকে প্রকাশ করতে পারেন
- আপনি চাইলে কান্না করতে পারেন
- চাইলো ইমোশকটাকে আকতে পারেন।
- চাইলে মুখে মাস্ক পড়েও ইমশোন প্রকাশ করতে পারেন, আপনার কারও সাথে রাগ হচ্ছে মুখে মাস্ক পড়ে তার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কাটতে পারেন, মাস্ক পড়ে হাসতে পারেন। মাস্ক পড়ে দাত খিচাতে পারেন।
ধাপ৪ঃ নিজের যত্ন নিনঃ
আপনার নিজেকে টেক কেয়ার করার জন্য আপনার এখন কি প্রয়োজন।
- হয়তো হতে পারে আপনার পছন্দের মানুষটিকে একটু হাগ করা,
- একটু ঘুমিয়ে নেওয়া
- একটু সাওয়ার নেওয়া
- একটু হাটাহাটি করা
- বন্ধুর সাথে কথা বলা
- কোন আড্ডা দেওয়া
- কারও কাছ থেকে এটেনশন পাওয়া বা স্নেহ পাওয়া
এভাবে আপনি নিজেকে বিবেচনা করে আপনার এই মুহুর্তে কোনটা প্রয়োজন আপনি সেটি করতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে
দীপন চন্দ্র সরকার
এসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
ফোনঃ 01515201321
Whats app : 01515201321
Email: depondu@gmail.c om
- আপনি চাইলো ইমোশনগুলোকে লিখে রাখতে পারেন
- একা একরুমে গিয়ে চিৎকার করে ইমোশনকে প্রকাশ করতে পারেন
- আপনি চাইলে কান্না করতে পারেন
- চাইলো ইমোশকটাকে আকতে পারেন।
- চাইলে মুখে মাস্ক পড়েও ইমশোন প্রকাশ করতে পারেন, আপনার কারও সাথে রাগ হচ্ছে মুখে মাস্ক পড়ে তার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কাটতে পারেন, মাস্ক পড়ে হাসতে পারেন। মাস্ক পড়ে দাত খিচাতে পারেন।
ধাপ৪ঃ নিজের যত্ন নিনঃ
আপনার নিজেকে টেক কেয়ার করার জন্য আপনার এখন কি প্রয়োজন।
- হয়তো হতে পারে আপনার পছন্দের মানুষটিকে একটু হাগ করা,
- একটু ঘুমিয়ে নেওয়া
- একটু সাওয়ার নেওয়া
- একটু হাটাহাটি করা
- বন্ধুর সাথে কথা বলা
- কোন আড্ডা দেওয়া
- কারও কাছ থেকে এটেনশন পাওয়া বা স্নেহ পাওয়া
এভাবে আপনি নিজেকে বিবেচনা করে আপনার এই মুহুর্তে কোনটা প্রয়োজন আপনি সেটি করতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে
দীপন চন্দ্র সরকার
এসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
ফোনঃ 01515201321
Whats app : 01515201321
Email: depondu@gmail.c