শেয়ার ইস্যু

কোন প্রতিষ্ঠানের বৃহৎ মূলধনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকে শেয়ার বলে। অর্থ্যাৎ ৫০,০০,০০০ টাকার মূলধনকে ১০০ টাকা করে ৫০,০০০ ভাগে ভাগ করলে, এই প্রতিটি ভাগকে এক একটি শেয়ার বলে।

সমহারে শেয়ার ইস্যুঃ
যখন কোন কোম্পানি তার শেয়ার লিখিত মূল্যে বা অভিহিত মূল্যে বিলি করে তখন তাকে সমহারে শেয়ার ইস্যু বলে।

এক্ষেত্রে জাবেদা হবে,
নগদান/ব্যাংক হিসাব— ডেবিট
শেয়ার মূলধন হিসাব— ক্রেডিট

শেয়ার ইস্যু


অধিহারে শেয়ার ইস্যুঃ
যদি কোম্পানি তার শেয়ার লিখিত বা অভিহিত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে বিলি করে তখন তাকে অধিহারে শেয়ার ইস্যু বলে।যেমনঃ ১০০ টাকা লিখিত মূল্যের শেয়ার ১২০ টাকায় বিক্রি করা।

এক্ষেত্রে জাবেদা হবে,
নগদান/ব্যাংক হিসাব — ডেবিট—১২০ টাকা
শেয়ার মূলধন হিসাব—ক্রেডিট—১০০ টাকা
শেয়ার অধিহার হিসাব—ক্রেডিট—২০ টাকা

অবহারে শেয়ার বিক্রয়ঃ
যদি কোম্পানি তার শেয়ার লিখিত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে শেয়ার বিক্রয় করে তাই অবহারে শেয়ার ইস্যু।যেমনঃ ১০০ টাকা লিখিত মূল্যের শেয়ার ৯০ টাকায় বিক্রয়/বিলি করা।

এক্ষেত্রে জাবেদা হবে,
নগদান/ব্যাংক হিসাব—ডেবিট–৯০ টাকা
শেয়ার অবহার হিসাব—ডেবিট—১০ টাকা
শেয়ার মূলধন হিসাব—ক্রেডিট—১০০ টাকা

এছাড়া অন্যান্য শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত জাবেদাঃ

১) বিনিয়োগকারী কতৃক শেয়ারের আদেবন পাওয়া গেলে,

ব্যাংক/নগদান হিসাব — Dr.
শেয়ার আবেদন হিসাব— Cr.

২) শেয়ার আবেদনের টাকা শেয়ার মূলধনে স্থানান্তরের জন্য,

শেয়ার আবেদন হিসাব—Dr.
শেয়ার মূলধন হিসাব—Cr.

৩) অতিরিক্ত শেয়ার আবেদনের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য,

শেয়ার আবেদন হিসাব — Dr.
ব্যাংক হিসাব— Cr.

৪) শেয়ারের বিনিময়ে স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করা হলে,

স্থায়ী সম্পদ হিসাব —Dr.
শেয়ার মূলধন হিসাব— Cr.

৫) প্রাথমিক খরচ/ব্যাংক চার্জের জন্য জাবেদা,

প্রাথমিক খরচ/ব্যাংক চার্জ হিসাব — Dr.
ব্যাংক/নগদান হিসাব — Cr.

বিঃদ্রঃ এগুলো সমহারের বেলায়। অবহার বা অধিহার থাকলে এর সাথে অবহার ডেবিট ও অধিহারকে ক্রেডিট করতে হবে।

একক প্রতি অবহার/অধিহার নির্ণয়ঃ
একক প্রতি অবহার নির্ণয় করতে বলবে দুই ভাবে। হয় শেয়ারের অভিহিত মূল্য ও বিক্রয়মূল্য দেয়া থাকবে। এদের পার্থক্যই অবহার/অধিহার।
অথবা, % দেয়া থাকবে অভিহিত মূল্যের উপর। তখন অভিহিত মূল্যের উপর % দিলেই অবহার/অধিহার চলে আসবে।

শেয়ার সংখ্যা নির্ণয়ঃ
মোট পরিশোধিত মূলধণ ÷ একক প্রতি শেয়ারের মূল্য

পরিশোধিত শেয়ার মূলধন নির্ণয়ঃ
বিলিকৃত শেয়ার সংখ্যা × প্রতিটি শেয়ারের মূল্য

শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হলে — শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের স্বত্ব হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়।

অবলেখকের কমিশন মোট বিলিকৃত শেয়ারের উপর ধার্য করা হয়। কিন্তু ব্যাংক চার্জ ধার্য করা হয় মোট আবেদন প্রাপ্ত শেয়ারের উপর।

এডমিশন প্রশ্নের ধরনঃ
অবহার/অধিহার নির্ণয় করতে বলবে
জাবেদা দাখিলা দেখাতে বলবে
পরিশোধিত মূলধনের পরিমান নির্ণয় করতে বলবে
এরকম...

এই অধ্যায়ে আর তেমন কিছু নেই। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দাও। 

সবাই নিজের খেয়াল রাখবে। শুভকামনা ❤️

মারুফ হোসেন মুন্না

মার্কেটিং বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম