সঙ্গীত তথা গানকে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বললে সম্ভবত খুব একটা বাহুল্য হবে না। মানবমনের ওপর গানের প্রভাব ঠিক কতখানি,সেটা বুঝতে আমাদের সূক্ষ্ম পরীক্ষণেও যেতে হয় না। মস্তিষ্কের ওপরেও সঙ্গীতের প্রভাব এতখানিই, জীবনের কোন পরিস্থিতিতে খুব বেশিবার শোনা কোন গান পরে কখনও শুনলে মস্তিষ্ক সেই রেশ ধরে ওই পরিস্থিতির স্মৃতিকে আবার জাগিয়ে তুলতেও পারে।
আর্থার সি ক্লার্কের বিখ্যাত (অনেকের মতে শ্রেষ্ঠ) সায়েন্স ফিকশন "Childhood's end" - এ Overlords নামে একদল প্রবল বুদ্ধিমান এলিয়েন মানুষদের দেখে রীতিমত ধাঁধাঁয় পড়ে গিয়েছিল! একটা পুরো প্রজাতির কোটি কোটি মানুষ কী চিন্তা থেকে সঙ্গীত নামে কিছু অর্থহীন কম্পাঙ্কের শব্দের প্যাটার্ন নিয়ে বাজিয়ে যাচ্ছে,শুনে যাচ্ছে! কৌতূহল থেকে তারা পৃথিবীতে নেমে এলো একটা কনসার্ট দেখতে,কী হয় আসলে সেটা বুঝতে! তারা শান্তভাবে সবটা শুনল, কনসার্ট শেষে সুরকারকে তার "দারুণ অভিনবত্বের" জন্য মেকি ধন্যবাদও দিল, কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারল না! গান শুনে মানুষের অনুভূতি কেমন হয়, তারা কোনভাবেই তা ধারণাতে আনতে পারল না! প্রজাতিগতভাবে তারা যে সঙ্গীতবিহীন!
আমরা কল্পনা করতে পারি, তারা স্পেসশিপে ফিরে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল, এই যে জিনিসটা দেখলে,এটাকে বলে সঙ্গীত। এই জিনিসটা হয়ত কোনভাবে মানুষদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এর কোন প্রকাশমানতা নেই, নেই কোন চিহ্ন,নেই জগতের কোন কিছুর ওপর কোন প্রভাব!
আমরা নিজেরা প্রজাতিগতভাবে যতখানি ভাষাজ্ঞানযুক্ত, সঙ্গীতবোধযুক্ত প্রজাতি তার চেয়ে কোন অংশে কম নই। সঙ্গীতবোধ আমাদের এমনভাবে সহজাত হয়ে গেছে,কেউ গানের সুরের বোধ পাচ্ছে না, এটা আমাদের কল্পনাতেও আসে না। অথচ, মস্তিষ্কের গঠনের জন্মগত বিকৃতি অথবা অন্য কোন কারণে (যেমন: স্ট্রোক) কারো সঙ্গীতবোধ সম্পূর্ণ বিলুপ্তও হতে পারে,যাকে Amusia বলে। তবে এটি খুবই বিরল ব্যতিক্রম, অর্থাৎ বৃহত্তর মানবপ্রজাতির প্রায় সবাইই গানের সুর,তাল, ছন্দ, জাতি(*১), তীক্ষ্ণতা, তীব্রতা এগুলোর সবই উপলব্ধি করতে পারে। আমাদের মস্তিষ্কের অনেকগুলো অংশ এর সবগুলোকে একত্রিত করে জটিল প্রক্রিয়ায় আর সঙ্গীতের বোধ জন্মায়।
সঙ্গীত আর ভাষা দুটো পরস্পরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চলছে এরা দুটো একটির পিছে আরেকটি বিকশিত হয়েছিল নাকি স্বাধীনভাবে, আর এই বিতর্ক চলছে প্রায় দুশো বছর ধরে। সর্বপ্রথম এই দিকে আলোকপাত করেন চার্লস ডারউইন। ডারউইন তার বিখ্যাত 'Descent of Man' বইয়ে ধারণা দেন , "সম্ভবত আদিম পর্যায়ের মানব অথবা মানুষের কোন আদিম পুর্বপুরুষ নিজের কণ্ঠকে সুর সৃষ্টিতে নিয়োজিত করেছিল। এর উৎপত্তি সম্ভবত প্রজননকালে, এবং এটি হয়ত ভালবাসা, ঈর্ষা এবং বিজয়োল্লাসের মত আবেগ প্রকাশের মাধ্যম ছিল,এবং হয়ত এটি প্রতিপক্ষের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ারও পদ্ধতি ছিল। বিভিন্ন ধ্বনিকে এরকম সুরের সাথে উচ্চারণ করে হয়ত শব্দগঠন করা হত যা জটিল মনের ভাব প্রকাশ করতে পারত!"
[ডারউইনের এই সঙ্গীতভিত্তিক আদিভাষার তত্ত্বটি পরবর্তীতে বারবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে, তাও আবার ডারউইনের উল্লেখ ছাড়াই।]
সঙ্গীতের উদ্ভব সম্পর্কে আরও কিছু অনুকল্প (hypothesis) আছে। এগুলোর ভিত্তি হল অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর (বিশেষত প্রাইমেট) সাথে তুলনামূলক আলোচনা, মানুষের বিবর্তনিক মনস্তত্ত্ব ও আচরণ বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
একটি হল দ্বিপদীতা অনুকল্প ( Bipedalism Hypothesis)। এই অনুকল্প মানুষের দুই পায়ে চলার বিবর্তনগত পরিবর্তনের সাথে সঙ্গীতকে সম্পৃক্ত করে। আমরা যখন হাঁটি, পদক্ষেপগুলোর ছন্দ অনেকটা আগে থেকেই আন্দাজ করে নেওয়া যায়। এমনকি কারো স্বাভাবিক হাঁটার সময় পরবর্তী পা ফেলার শব্দ কখন হবে,আপনি চোখ বন্ধ করেও বুঝে ফেলতে পারবেন। আমাদের হাঁটার শব্দ এভাবে অন্যান্য চারপেয়ে প্রাইমেটের তুলনায় অনেক ছন্দবদ্ধ, আগে থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব। এভাবে আমাদের দুই পায়ে হাঁটার বৈশিষ্ট্য লাভের সাথে সাথে দলগত পায়ের আওয়াজ, নিশ্বাসের আওয়াজ,প্রতিধ্বনি, এসবকিছুর ছন্দবদ্ধতা হয়ত আমাদের সঙ্গীতের 'তাল' অনুভবে সাহায্য করেছিল, যা হয়ত দলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করত।
আরেকটি অনুকল্প হল, Musilanguage Hypothesis। ডারউইন এর সম্পর্কে আগেই আলোকপাত করেছিলেন। যাহোক, এই Musilanguage টার্মটা প্রথম আনেন স্টিভেন ব্রাউন। ব্রাউন সাহেব বলেন, ভাষা আর সঙ্গীত একইসাথে বিকাশলাভ করেছিল, Musilanguage রূপে। কিছু কিছু ভাষা আছে, যাদের একই শব্দ ভিন্ন সুরে উচ্চারণ করলে অর্থ ভিন্ন হয়,এদের Tonal Language বলে। এরকম ভাষার মধ্যে আছে চীনা (মান্দারিন),ভিয়েতনামীয়, বাংলাদেশের সিলেটী, চাকমা ভাষাও এই শ্রেণীভুক্ত বলা চলে। ব্রাউন সাহেব এই ভাষাগুলোকে Musilanguage-এর বংশধর বলেন,অন্যদিকে ইংরেজির মত সুরহীন ভাষাকে বিবর্তনিকভাবে পরবর্তীকালে আসা ভাষা বলে দাবি করেন।
চিত্র নির্দেশনা: এই বাঁশিটিকে, যার নাম Aurignacian Flute,একে বিশ্বের প্রাচীনতম বাদ্যযন্ত্র বলা হয়ে থাকে। বাঁশির মত দেখতে এই জিনিসটি প্রায় ৩৫০০০-৪০০০০ বছর পুরনো। ২০০৮ সালে জার্মানির Hohle Fels গুহাতে এই বাঁশিটি পাওয়া যায়। বাঁশিটি শকুনের পাখার হাড়ে ৫ টি ছিদ্র করে তৈরি।
পাদটীকাঃ
*১. জাতি (Timbre): সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য একই সুরগত তীক্ষ্ণতা ও প্রাবল্যের শব্দ দুটি ভিন্ন উৎস থেকে এলে তাদের পার্থক্য করা যায়,সেই বৈশিষ্ট্যই সুরের জাতি(Timbre)। একই সুর পিয়ানোতে আর বাঁশিতে বাজলে যে বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য পাওয়া যাবে,সেটাই সুরের জাতি।
গান টানলেও মাথা আসে
১৯৭০ সাল। ফেলুদা বিরসবদনে বসে আছেন। একটা কেস তিনি প্রায় সলভ করেই ফেলেছেন, বুঝে ফেলেছেন যে, আসামী ব্যাটা হচ্ছেন ঘাগু এক মিউজিশিয়ান। দারুণ পিয়ানো বাজায়, বেহালাতেও সিদ্ধহস্ত! সন্দেহভাজন সবাই হাতের নাগালের মধ্যেই। সমস্যাটা হল, সন্দেহভাজন কারোরই গান শেখার কোন জানাশোনা ইতিহাস নেই। কিন্তু কেউ না কেউ তো গান নিশ্চয়ই জানেন, খুব সতর্কভাবেই সেটা সে বেমালুম চেপে গিয়েছে বহুকাল আগে থেকেই! বহুত চালু চিজ! ফেলুদা কি পারবেন সম্পূর্ণ রহস্যের সমাধান করতে?
গল্পটা আমি আর বাড়াব না (বাড়ানোর এখতিয়ার আমার নেইও, সেটা কেবলই সত্যজিৎ রায়ের)। ফেলুদার বুদ্ধির ওপর যেহেতু আমাদের ভরসা আছে, আমরা ধরেই নিচ্ছি ফেলুদা সুন্দরভাবেই রহস্যের সমাধান করে ফেলবেন। যে যতই বলুক না কেন আমি গান জানিইনা (সন্ধি করবেন না, ভেঙে পড়ুন ) , ফেলুদা ঠিক ধরে ফেলবেন আসলে কে গান জানেন (এ ভাই,সন্ধি কইরেন না কিন্তু)!
কিন্তু গল্পটা যদি হত ২০১৯-এর, তাহলে কিন্তু কেস অলরেডি সলভড! খালি ধরে ধরে সবকটার ব্রেইন স্ক্যান করে আনলেই কেল্লাফতে! কেমনে? বলছি একটু পরে!
এবার একটু নিরুবিজ্ঞান পড়ব ( নিরুবিজ্ঞান হইল Neuroscience মানে স্নায়ুবিজ্ঞানের আদরের ডাক )। এই যে গানবাজনা, এই জিনিস কিন্তু নিরুবিজ্ঞানের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। মজার বিষয় হল, ৫০ বছর আগেও মস্তিষ্কের সঙ্গীতে সাড়া দেওয়া বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানাশোনা ছিল না। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে বিভিন্ন ধরণের স্ক্যানিং,ইমেজিং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এ বিষয়ে বিশাল অগ্রগতি এসেছে। আমরা এখন চাইলে একজন মিউজিশিয়ানের মস্তিষ্কের ধরণ এমনকি চাইলে গানবাজনা করার সময়েও কারো মস্তিষ্কের অবস্থা সরাসরি দেখতে পারি।
আমরা কিভাবে শুনি,সেই মেকানিজম আসলে ততটা জটিল না। কিন্তু সঙ্গীতবোধ কিন্তু খালি শোনার মেকানিজমেই আসে না। এর প্রক্রিয়া আরও অনেক বেশি জটিল। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন,যাদের শব্দ শুনতে বিন্দুমাত্র সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও তারা গানের সুর তাল লয় ছন্দ কিছুই বোঝেন না! এই জটিল মেকানিজম যে তাদের নেই! আগের পর্বেই বলেছিলাম,এই ত্রুটিকে Amusia বলে।
[যাহোক,আমি এখানে সঙ্গীতবোধের স্নায়বিক মেকানিজম আলোচনা করতে গেলে আর্টিকেল পুরো ঘেঁটে যাবে। "আমরা কীভাবে গান শুনি আর বুঝি?" প্রশ্নটা ছোটখাটো হলেও উত্তর বিশাল! তাই সেটা "অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া" বলে কাজ সেরে দিলাম]
আমি আগেই বলেছিলাম,আমাদের মস্তিষ্কের ওপর সঙ্গীতের প্রভাব অনেক বেশি। এই "অনেক বেশি"টা আসলে আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি, অন্তত আধুনিক গবেষণাগুলো তা-ই বলছে। আমরা শারীরিক শ্রমের কাজ বেশি করলে তো আমাদের পেশি আকারে বাড়ে, কিন্তু মানসিক পরিশ্রমে কিন্তু সেভাবে আমাদের মস্তিষ্ক আয়তনে বাড়ে না। আপনি বেশি বেশি অংক করলে, ক্যালকুলাস সলভ করলেও আপনার ব্রেইনের গঠনে কিছুই আসবে যাবে না তেমন। কিন্তু গানের ক্ষেত্রে আসলেই বিষয়টা অন্যরকম। একজন গড়পড়তা মানুষ, একজন বিজ্ঞানী, একজন সাহিত্যিক,একজন গণিতবিদ, একজন প্রোগ্রামার, এদের কারোরই মস্তিষ্কের গঠনে সেভাবে নির্দিষ্ট করে কোন পার্থক্য পাওয়া যাবে না, মানে কখনওই আপনি শুধু ব্রেইন দেখে বলে দিতে পারবেন না (মনে করুন আপনি একজন Anatomist) যে এই ব্যক্তি জাকারবার্গ, এই ব্যক্তি রামানুজন, এই ব্যক্তি স্যাগান,এই ব্যক্তি জীবনানন্দ, কিংবা এই ব্যক্তি আপনার পাশের বাসার আন্টি (এটার ক্ষেত্রে অবশ্য প্যাঁচের সংখ্যা বেশি পেয়ে বুঝে যেতে পারেন )। কিন্তু আপনি কিন্তু এদের সবার থেকে একজন রুনা লায়লার অথবা এ আর রহমানের ব্রেইন আলাদা করে ফেলতে পারবেন। গান শেখা মস্তিষ্কের গঠন যে একদমই আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব!
২০০৩ সালে Schlaug এবং Gaser মস্তিষ্কের গ্রেম্যাটারের তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ চালান সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতজ্ঞ নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এবং সঙ্গীতজ্ঞদের মস্তিষ্কের মোটর, শ্রবণ ও দর্শন নিয়ন্ত্রক অংশগুলোতে গ্রেম্যাটারের আধিক্য খুঁজে পান, নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে প্রাথমিক মোটর,সোমাটোসেন্সরি,প্রিমোটর, অগ্র সুপিরিয়র প্যারাইটাল, ইনফেরিয়র টেমপোরাল জাইরাস এই অঞ্চলগুলোতে। সঙ্গীতজ্ঞ হওয়া আর মস্তিষ্কের গ্রেম্যাটারের এই পার্থক্যের সম্পর্কই প্রমাণ করে,সঙ্গীতজ্ঞদের মস্তিষ্ক ব্যবহার-নির্ভর গাঠনিক পরিবর্তনে সক্ষম।
১৯৯২ সালে Cowell ও তার সহযোগীদের করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, সঙ্গীতজ্ঞদের মস্তিষ্কের কর্পাস ক্যালোসামের (*১) সম্মুখ অংশটি অপেক্ষাকৃত সুগঠিত হয়। ১৯৯৫ সালে Schlaug -এর গবেষণাও এই ফলাফলকে সমর্থন করে। Schlaug দেখান যে, ২১ থেকে ৩৬ বছর বয়সী ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিশিয়ানদের কর্পাস ক্যালোসামের সম্মুখ অংশটি নন-মিউজিশিয়ানদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃহৎ। তিনি আরও দেখান যে, সাত বছর বয়সের আগে থেকে শিশুর গানের সাথে সংযোগ ঘটলে কর্পাস ক্যালোসামের বৃদ্ধি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হয়। কর্পাস ক্যালোসাম তন্তুগুচ্ছ যেহেতু মস্তিষ্কের ডান ও বাম অংশদুটোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, কাজেই বলা যেতেই পারে,হয়ত এর সুগঠিত হওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের তথ্য আদান প্রদান বেড়ে যায়, যার ফলে সঙ্গীত দক্ষতা হয়ত স্মৃতিশক্তির সাথেও সম্পৃক্ত।
এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা দেখাচ্ছে, গান শেখা মস্তিষ্কের বাম Planum Temporal অপেক্ষাকৃত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বড় হয়, তাদের শব্দ (Word) গত স্মৃতি ভাল হয়, একই Movement করতে তাদের সঙ্গীতজ্ঞ নয় এমন ব্যক্তিদের চেয়ে কম নিউরন খাটাতে হয়।
আশা করি, ফেলুদার সেই কেসখানা সলভ করার উপায় এখন আপনি নিজেই বুঝে গেছেন!
চিত্র নির্দেশনা:
লাল রেখায় কর্পাস ক্যালোসাম চিহ্নিত করা আছে।
পাদটীকা :
*১. কর্পাস ক্যালোসাম:সেরিব্রাল কর্টেক্সের নিচে গ্রথিত ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী একগুচ্ছ মোটা স্নায়ুতন্তু, যা এই দুই হেমিস্ফিয়ারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
লিখাঃ সৌরভ সাহা