তিমির নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সমুদ্রের বিশালাকার দানবের চিত্র।আমরা যারা ডিসকভারি চ্যানেল দেখেছি আমরা অনেকেই সমুদ্রের তলদেশের ছবি দেখেছি। সমুদ্রের নিচে অনেক অন্ধকার!স্থলে যেমন অন্যসব প্রাণীরা যোগাযোগ করতে পারে তেমনি কিন্তু পানির গভীরে বসবাসকারী প্রাণীরা করতে পারে না। স্থলে বসবাসকারী অনেক প্রাণী যেমন ঘ্রাণ শক্তির এর মাধ্যমে বুঝতে পারে কিন্তু পানিতে বসবাসকারী প্রাণীরা করতে পারে না বললেই চলে।কিন্তু আমরা জানি যে বায়ু মাধ্যমের চেয়ে পানিতে শব্দের বেগ অনেক বেশি(বায়ু মাধ্যমে শব্দের বেগ ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড আর পানিতে শব্দের বেগ ১৪৯৬ মিটার/
সেকেন্ড) ।পানিতে থাকা তিমি মাছ(কিছু প্রজাতি) যোগাযোগ করে গানের মাধ্যমে!হ্যাঁ গানের মাধ্যমে!! তিমিরা পরষ্পরের সাথে এক ধরণের সুরেলা শব্দ করে যোগাযোগ করে, যা তিমির গান নামে পরিচিত। তিমির বিশালতা ও শক্তিমত্ততার মতোই এদের গানও অনেক জোরালো।কিন্তু সকল তিমিই না।কিছু সংখ্যক প্রজাতি করে থাকে।প্রজাতিগুলো হলো Blue,Fin,Humpback,Bowhead,Minke.এই প্রজাতিগুলোকে একসাথে বলা হয় Baleen Whales(প্রথম ছবি ) এরাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকে গানের মাধ্যমে।
কিন্তু তারা গান গায় কীভাবে?
আগে জানতে হবে আমরা কীভাবে শব্দ তৈরি করি?আমরা যে বাতাস বের করি তা আমাদের ভোকাল কর্ডে ধাক্কা খেয়ে আর আমরা তা মুখের বিভিন্ন ভাবে আমরা বের করে দেই অর্থৎ বিভিন্ন আলাদা ধ্বনি উচ্চারণ করি। উপরিউক্ত প্রজাতির তিমিদের ফুসফুস এবং লোরিনজ্যাল স্যাক্স(Laryngeal Sacs) নামক একটি অঙ্গের মাঝে ইউ (U)আকৃাতির ভাজকৃত টিস্যু(কলা) আছে(ছবি নং ২)।যখন তারা ফুসফুস হতে বাতাস বের করে দেয় তখন তা ইউ (U)আকৃাতির ভাজকৃত টিস্যুটি অতিক্রম করে তা লোরিনজ্যাল স্যাক্সের ভেতরে প্রবেশ করে।তারপর তাতে কম্পন সৃষ্টি হয়।তারপর লোরিনজ্যাল স্যাক্স এতা প্রতিফলিত হতে থাকে(ছবি নং ৩)।আর তা ১০০০ কিলো মিটারও অতিক্রম করে!একবার শব্দ করলে আবার শব্দ করতে হয় না তা বেশ কয়েকবার তা ফুসফুস এ গিয়ে লোরিনজ্যাল স্যাক্স এ এসে বেশ কয়েকবার শব্দ তৈরি করে।
কিন্তু তা গান কেন হবে, তা তো অন্যপ্রাণীদের মতোই শব্দ করে?
হ্যাঁ এখানে আসল মজা।তারা যা উচ্চারণ করে তা একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নে করে থাকে(একবার ভেবে দেখুন)!!যা গানের মতোই শোনায়। Humpback প্রজাতির তিমি টানা ২২ ঘন্টা গান গাইতে পারে!! প্রজনন ঋতুতে দিনে ২৪ ঘণ্টা গান গায়। হাইড্রোফোন (পানির তলদেশে ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোফোন) ব্যবহার করে শব্দ রেকর্ড করার পর এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিনল্যান্ডে গান করা তিমি শনাক্ত করেন অধ্যাপক স্টাফোর্ড। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই আশা করছিলাম যে হাইড্রোফোন স্থাপন করলে আমরা কিছু না কিছু শব্দ পাব। কিন্তু যখন রেকর্ডকৃত শব্দ শুনলাম, তখন হতবাক হয়ে গেলাম। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বোহেড(Bowhead) তিমি জোরে জোরে গান গেয়ে যাচ্ছিলো, দিনে ২৪ ঘণ্টা গান গাচ্ছিলো তারা। আর তাদের গানগুলো একটি থেকে আরেকটি অনেক ভিন্ন ছিল।’
পরবর্তীতে যে রেকর্ডগুলো করা হয়েছিল, তাতে দেখা বোহেড(Bowhead) তিমির সংগীত ঋতু শুরু হয় শরতের শেষ থেকে। আর বসন্তের শুরু পর্যন্ত তা চলতে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাইড্রোফোন স্থাপন করে দেখা গেছে গানের মাত্রা আরও বেড়েছে।গবেষক এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কেট স্টাফোর্ড বোহেড(Bowhead) তিমির গানের ধরণকে জ্যাজ সংগীতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাম্পব্যাক(Humpback) তিমির গান যদি হয় ক্লাসিক্যাল সংগীতের মতো তবে বোহেডের(Bowhead) গান হবে জ্যাজ সংগীত। তাদের সুর অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত। চারটি শীতকালীন ঋতুতে রেকর্ডকৃত স্বর বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি কেবল যে কয়েক বছরের মধ্যে কোনও গানের পুনরাবৃত্তি হয়নি তাই নয়, বরং প্রত্যেক ঋতুতেই নতুন নতুন ধরনের গান পাওয়া গেছে।’
বোহেড(Bowhead) তিমির যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি বিজ্ঞানীদের বেশি আকৃষ্ট করেছে, তাহলো তাদের গানের বৈচিত্র্য। তবে বোহেড(Bowhead) তিমি কেন এতো বিচিত্র সুর করে তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। স্ত্রী ও পুরুষ দুই লিঙ্গের বোহেড(Bowhead) তিমিই গান গায় কিনা তাও এখনও জানা যায়নি। হাম্পব্যাক(Humpback) প্রজাতির তিমির ক্ষেত্রে দেখা গেছে কেবল পুরুষ হাম্পব্যাকরাই গান গায়।
বোহেড(Bowhead) তিমিরা শীতকালে এ ধরনের আচরণ করে থাকে। শীতকালে মেরু অঞ্চলের ২৪ ঘণ্টার অন্ধকারে তারা সাগরের বরফের নিচে থাকে। বিজ্ঞানীরা এখন তাদের গবেষণা বিস্তৃত করতে চাইছেন। এক্ষেত্রে বোহেড (Bowhead)তিমির গায়ে রেডিও ট্যাগ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তারা। পাঠক আপনার মনে অবশ্যই এই গান শোনার ইচ্ছা জেগেছে ।নিচের লিঙ্কে গিয়ে তিমির গান শুনে আসতে পারেন।
কিন্তু তারা গান গায় কেন?
বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিক ভাবে জানতে সক্ষম হন নি কেন তারা গান গায়।তবে যে সকল কারণ হতে পারে সেগুলো:
১.নিজেদের নিজস্ব এলাকা গঠনের জন্য;
২. নিজেদের আরও আকর্ষণীয় দেখানো;
৩.তাদের বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ এর জন্য
৪.হতে পারে মজা করার জন্য!
প্রধানত মহিলা প্রজাতি তিমির আকর্ষণই তাদের মূল লক্ষ থাকে বলে ধারণা করা হয়।বিজ্ঞানীরা দেখেছেন তাদের গান সমূহ অঞ্চল ভেদে আলাদা হয়ে থাকে।এবং তারা সবসময় চায় নতুন গান গাইতে ।
মানুষের কর্মঃ
কিন্তু দুখের বিষয় এই যে আমরা মানুষ জাতি এদের গান টুকুও শান্তিতে গাইতে দিচ্ছি না।পানিতে ভাসমান জাহাজ ,সাবমেরিন ইত্যাদির কারনে শব্দ তাদের শব্দের সাথে মিশে জগাখিচুরি পাকাচ্ছে।তাছাড়া জাহাজ সমূহের আশে পাশে শব্দের কারণে তারা যায় না।
১.https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/8/85/Blue_whale_atlantic1.ogg
২. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_whale_atlantic3.ogg
৩. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_whale_atlantic2.ogg
৪. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_NE_Pacific.ogg
৫. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_South_Pacific.ogg
৬. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_West_Pacific.ogg
৭. https://www.youtube.com/watch?v=WabT1L-nN-E
ফাইয়াজ মুবাররাত
সদস্য,ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
সেকেন্ড) ।পানিতে থাকা তিমি মাছ(কিছু প্রজাতি) যোগাযোগ করে গানের মাধ্যমে!হ্যাঁ গানের মাধ্যমে!! তিমিরা পরষ্পরের সাথে এক ধরণের সুরেলা শব্দ করে যোগাযোগ করে, যা তিমির গান নামে পরিচিত। তিমির বিশালতা ও শক্তিমত্ততার মতোই এদের গানও অনেক জোরালো।কিন্তু সকল তিমিই না।কিছু সংখ্যক প্রজাতি করে থাকে।প্রজাতিগুলো হলো Blue,Fin,Humpback,Bowhead,Minke.এই প্রজাতিগুলোকে একসাথে বলা হয় Baleen Whales(প্রথম ছবি ) এরাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকে গানের মাধ্যমে।
কিন্তু তারা গান গায় কীভাবে?
আগে জানতে হবে আমরা কীভাবে শব্দ তৈরি করি?আমরা যে বাতাস বের করি তা আমাদের ভোকাল কর্ডে ধাক্কা খেয়ে আর আমরা তা মুখের বিভিন্ন ভাবে আমরা বের করে দেই অর্থৎ বিভিন্ন আলাদা ধ্বনি উচ্চারণ করি। উপরিউক্ত প্রজাতির তিমিদের ফুসফুস এবং লোরিনজ্যাল স্যাক্স(Laryngeal Sacs) নামক একটি অঙ্গের মাঝে ইউ (U)আকৃাতির ভাজকৃত টিস্যু(কলা) আছে(ছবি নং ২)।যখন তারা ফুসফুস হতে বাতাস বের করে দেয় তখন তা ইউ (U)আকৃাতির ভাজকৃত টিস্যুটি অতিক্রম করে তা লোরিনজ্যাল স্যাক্সের ভেতরে প্রবেশ করে।তারপর তাতে কম্পন সৃষ্টি হয়।তারপর লোরিনজ্যাল স্যাক্স এতা প্রতিফলিত হতে থাকে(ছবি নং ৩)।আর তা ১০০০ কিলো মিটারও অতিক্রম করে!একবার শব্দ করলে আবার শব্দ করতে হয় না তা বেশ কয়েকবার তা ফুসফুস এ গিয়ে লোরিনজ্যাল স্যাক্স এ এসে বেশ কয়েকবার শব্দ তৈরি করে।
কিন্তু তা গান কেন হবে, তা তো অন্যপ্রাণীদের মতোই শব্দ করে?
হ্যাঁ এখানে আসল মজা।তারা যা উচ্চারণ করে তা একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নে করে থাকে(একবার ভেবে দেখুন)!!যা গানের মতোই শোনায়। Humpback প্রজাতির তিমি টানা ২২ ঘন্টা গান গাইতে পারে!! প্রজনন ঋতুতে দিনে ২৪ ঘণ্টা গান গায়। হাইড্রোফোন (পানির তলদেশে ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোফোন) ব্যবহার করে শব্দ রেকর্ড করার পর এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিনল্যান্ডে গান করা তিমি শনাক্ত করেন অধ্যাপক স্টাফোর্ড। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই আশা করছিলাম যে হাইড্রোফোন স্থাপন করলে আমরা কিছু না কিছু শব্দ পাব। কিন্তু যখন রেকর্ডকৃত শব্দ শুনলাম, তখন হতবাক হয়ে গেলাম। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বোহেড(Bowhead) তিমি জোরে জোরে গান গেয়ে যাচ্ছিলো, দিনে ২৪ ঘণ্টা গান গাচ্ছিলো তারা। আর তাদের গানগুলো একটি থেকে আরেকটি অনেক ভিন্ন ছিল।’
পরবর্তীতে যে রেকর্ডগুলো করা হয়েছিল, তাতে দেখা বোহেড(Bowhead) তিমির সংগীত ঋতু শুরু হয় শরতের শেষ থেকে। আর বসন্তের শুরু পর্যন্ত তা চলতে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাইড্রোফোন স্থাপন করে দেখা গেছে গানের মাত্রা আরও বেড়েছে।গবেষক এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কেট স্টাফোর্ড বোহেড(Bowhead) তিমির গানের ধরণকে জ্যাজ সংগীতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাম্পব্যাক(Humpback) তিমির গান যদি হয় ক্লাসিক্যাল সংগীতের মতো তবে বোহেডের(Bowhead) গান হবে জ্যাজ সংগীত। তাদের সুর অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত। চারটি শীতকালীন ঋতুতে রেকর্ডকৃত স্বর বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি কেবল যে কয়েক বছরের মধ্যে কোনও গানের পুনরাবৃত্তি হয়নি তাই নয়, বরং প্রত্যেক ঋতুতেই নতুন নতুন ধরনের গান পাওয়া গেছে।’
বোহেড(Bowhead) তিমির যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি বিজ্ঞানীদের বেশি আকৃষ্ট করেছে, তাহলো তাদের গানের বৈচিত্র্য। তবে বোহেড(Bowhead) তিমি কেন এতো বিচিত্র সুর করে তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। স্ত্রী ও পুরুষ দুই লিঙ্গের বোহেড(Bowhead) তিমিই গান গায় কিনা তাও এখনও জানা যায়নি। হাম্পব্যাক(Humpback) প্রজাতির তিমির ক্ষেত্রে দেখা গেছে কেবল পুরুষ হাম্পব্যাকরাই গান গায়।
বোহেড(Bowhead) তিমিরা শীতকালে এ ধরনের আচরণ করে থাকে। শীতকালে মেরু অঞ্চলের ২৪ ঘণ্টার অন্ধকারে তারা সাগরের বরফের নিচে থাকে। বিজ্ঞানীরা এখন তাদের গবেষণা বিস্তৃত করতে চাইছেন। এক্ষেত্রে বোহেড (Bowhead)তিমির গায়ে রেডিও ট্যাগ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তারা। পাঠক আপনার মনে অবশ্যই এই গান শোনার ইচ্ছা জেগেছে ।নিচের লিঙ্কে গিয়ে তিমির গান শুনে আসতে পারেন।
কিন্তু তারা গান গায় কেন?
বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিক ভাবে জানতে সক্ষম হন নি কেন তারা গান গায়।তবে যে সকল কারণ হতে পারে সেগুলো:
১.নিজেদের নিজস্ব এলাকা গঠনের জন্য;
২. নিজেদের আরও আকর্ষণীয় দেখানো;
৩.তাদের বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ এর জন্য
৪.হতে পারে মজা করার জন্য!
প্রধানত মহিলা প্রজাতি তিমির আকর্ষণই তাদের মূল লক্ষ থাকে বলে ধারণা করা হয়।বিজ্ঞানীরা দেখেছেন তাদের গান সমূহ অঞ্চল ভেদে আলাদা হয়ে থাকে।এবং তারা সবসময় চায় নতুন গান গাইতে ।
মানুষের কর্মঃ
কিন্তু দুখের বিষয় এই যে আমরা মানুষ জাতি এদের গান টুকুও শান্তিতে গাইতে দিচ্ছি না।পানিতে ভাসমান জাহাজ ,সাবমেরিন ইত্যাদির কারনে শব্দ তাদের শব্দের সাথে মিশে জগাখিচুরি পাকাচ্ছে।তাছাড়া জাহাজ সমূহের আশে পাশে শব্দের কারণে তারা যায় না।
১.https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/8/85/Blue_whale_atlantic1.ogg
২. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_whale_atlantic3.ogg
৩. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_whale_atlantic2.ogg
৪. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_NE_Pacific.ogg
৫. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_South_Pacific.ogg
৬. https://en.wikipedia.org/wiki/File:Blue_Whale_West_Pacific.ogg
৭. https://www.youtube.com/watch?v=WabT1L-nN-E
ফাইয়াজ মুবাররাত
সদস্য,ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান